নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এক জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এই অভিযোগ এনে আদালত বর্জন করেছেন আইনজীবীরা। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। যে আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক দুর্ব্যবহারের করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার নাম মুজিবুর রহমান দুলাল। তিনি বলেন, ‘আদালতের মধ্যে ৬ জন আইনজীবীর বেশি থাকা যাবে না এমন নির্দেশনা আছে। আজকে ওই কোর্টে আমার একটা মামলা ছিল। আমি কোর্ট গিয়ে দেখতে পারি, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এ সময় আমার জুনিয়র আইনজীবীদের অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। পরে এক জুনিয়র আমাকে বসার জায়গা দেয়। ১০ মিনিট পর কোর্টের দরজা খোলে। কোর্টের মধ্যে ৮ থেকে ৯ জন আইনজীবী ছিলেন। ‘উত্তরপাশে একটা চেয়ার খালি থাকায় আমি সেখানে গিয়ে বসি। এ সময় বিচারক আমাকে বলেন, আমি এখানে কী করছি? তখন আমি আমার আসার কারণ বলি এবং সেই কাজ সাড়ে ১১টায় হবে বলে জানান বিচারক।
তখন ১১টা ১০ মিনিট বাজে। এ সময় বিচারক সরাসরি না বলে আমাকে মেনশন করেই কোর্ট থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।’ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাকে বের হওয়ার বিষয়টি আমি অনুমান করে নেই। এ সময় আমিও বের হয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেই। সাথে সাথেই বিচারক হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে খাসকামরায় চলে যান। আমি বের হওয়ার সাথে সাথেই আমাদের সাধারণ সম্পাদক খোকনসহ সবাই কোর্ট থেকে বের হয়ে যান। ‘এরপর বিচারক তার পিয়ন দিয়ে আইনজীবী ছাড়াই মক্কেলদের ডেকে ডেকে আদালত কার্যক্রম চালিয়েছে। বিচারকের উগ্র আচরণ আমরা লক্ষ্য করেছি।’ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফয়েজুল হক ফয়েজ বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যার বেশি আইনজীবী আদালত কক্ষে ছিল। অতিরিক্ত আইনজীবী থাকায় বিচারক এবং আইনজীবীরা বাইরে চলে গিয়েছিল। এটি বড় কোন ঘটনা নয়। ২০ মিনিট পর আদালত কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।’ বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতি সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘সকালে আদালতে শুনানি চলাকালে আমাদের এক আইনজীবীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বিচারক। প্রতিবাদে আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেন। সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
Leave a Reply